এম. সাইফুল ইসলাম::
বাংলাদেশের এপারে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ফেরাতে মিয়ানমারে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিলম্ব হচ্ছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় দেরি হচ্ছে বলে তার বর্ণনায় জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে ইউএনএইচসিআর’কে সম্পৃক্ত করে চুক্তি হয়েছে। আন্তর্জাতিক এই সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের এমনভাবে স্বদেশে ফেরত পাঠানো হবে যাতে তারা সেখানে নিরাপদে বসবাস করতে পারে। তাড়াহুড়া করলে এই পরিস্থিতি ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’ সোমবার (১২ ফেব্রয়ারি) কক্সবাজারের উখিয়ার মধুরছড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৩২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সোমবার সকালে ক্যাম্প পরিদর্শনে যান। সেখানে প্রতিনিধিরা নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ করেন। শাহরিয়ার আলম আরও বলেন, ‘আজকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৩২ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি পরিদর্শনের পর আন্তর্জাতিকভাবে মিয়ানমারকে চাপ সৃষ্টি করবে বলে আশা করছি। এজন্য তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিস্থিতি দেখার জন্য এসেছেন। প্রতিনিধি দলটিও আশা করছে রোহিঙ্গারা যেন নিরাপদে এবং নাগরিকত্ব নিয়ে মিয়ানমারে ফিরতে পারে।’ এক সপ্তাহে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পেরেছি রোহিঙ্গারা নিজ উদ্যোগে বাংলাদেশে চলে আসছে, এতে তাদের করার কিছুই নেই। গত ৪০ দিনে প্রায় ১০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। গত কয়েক দিনে ৩০০ থেকে ৪০০ করে রোহিঙ্গা এসেছে। আমরা যতটুকু জেনেছি, মিয়ানমারের কিছু লোক তাদের বলছে অন্যরা যেহেতু বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে, তোমরাও চলে যাও। সে কারণে তারাও বাংলাদেশে আসছে। আবার অনেকেই আসছে হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের খুঁজতে। এতে আমরা বিচলিত নই। প্রত্যাবাসন যখন শুরু হবে তখনও যদি রোহিঙ্গা আসা অব্যাহত থাকে, তখন আমাদের সিরিয়াসলি ভাবতে হবে।’ ইইউ প্রতিনিধি দলের প্রধান জিন ল্যামবার্ট জানান, মিয়ানমারের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আন্তর্জাতিক মহল মনে করে, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর পরিস্থিতি তৈরি করবে মিয়ানমার সরকার। মিয়ানমারের আগের যে পরিস্থিতি, তা কোনোভাবেই রোহিঙ্গাদের অনুকূলে নয়। তারা মিয়ানমারে বসবাস করতে পারেনি বলে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। এ সময় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন জেমস নিকলসন, রিচার্ড করবেট, ওয়াযিদ খান, সাজ্জাদ করিম, মার্ক তারাবেলাসহ ৩২ জন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য। পরিদর্শনের সময় রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ ছাড়াও ত্রাণ বিতরণ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রকল্প ঘুরে দেখেন তারা।
কক্সবাজার লাইট হাউজ এলাকার কটেজ জোনের নিসর্গ নামের একটি কটেজে ঢুকে এক স্থানীয় পর্যটককে ছুরিকাঘাত ...
পাঠকের মতামত